এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ (রোববার) সপ্তদশ এশিয়া কাপ ফাইনালে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল পাকিস্তান। ১১.২ ওভারে ১০০ রান তুলেও তারা চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অলআউট হয় ১৪৬ রানে। তিলক ভার্মার ফিফটিতে ভর করে ২ বল হাতে রেখেই ভারত জয় নিশ্চিত করেছে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতও শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অভিষেক শর্মাকে (৫) দলীয় ৭ রানে ফেরান ফাহিম আশরাফ। শুরুতে শর্মা, গিল আর সুর্যকুমার ব্যর্থ হয়ে ম্যাচে ফেরার সুযোগ দিয়েছিল পাকিস্তানকে। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান তিলক ভার্মা। ৫৩ বলে ৬৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। সঙ্গ দেন সঞ্জু স্যামসন (২৪) ও শিবম দুবে (৩৩)। শেষ পর্যন্ত রিংকু সিংয়ের চারে ১৯.৪ ওভারে ১৫০ রানে পৌঁছে যায় ভারত, হাতে থাকে ৫ উইকেট।
শেষ ওভারের আগেও পাকিস্তান দল আশা দেখিয়েছিল। কিন্তু ভারতের ব্যাটিং ও দৃঢ়তায় সব ভেস্তে গেল। ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে হতাশাই উপহার দিয়েছে ভারত।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। শুরুতে সাবধানী ব্যাটিং করলেও ধীরে ধীরে খোলস ছাড়তে শুরু করেন শাহিবজাদা ফারহান। পাওয়ার প্লেতে খুব বেশি রান তুলতে না পারলেও উইকেট হারায়নি পাকিস্তান।
উদ্বোধনী জুটি হিসেবে শাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান ৮৪ রান যোগ করেন। তবে বরুণ চক্রবর্তীর বলে তিলক ভার্মার হাতে ক্যাচ দেওয়ার পর ফারহান আউট হন। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে ৫৭ রান।
এরপর পাকিস্তানের ব্যাটিং ধসে পড়ে। পরপর ৫ ওভারে ৭ ব্যাটারকে হারিয়ে তারা চাপে পড়ে। ১৭তম ওভারে কুলদীপ যাদব একাই ৩ উইকেট তুলে নেন। ২১ রানের ব্যবধানেই পাকিস্তান হারায় ৭ উইকেট। পরের দুই ব্যাটারও দ্রুত আউট হন। সব মিলিয়ে মাত্র ৩৩ রান তুলতেই পরের ৮ ব্যাটার আউট হয়ে ১৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। ফখর জামান ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। কুলদীপের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
ভারতের জন্য কুলদীপ যাদব নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। এছাড়া অক্ষর প্যাটেল, বরুণ চক্রবর্তী ও জসপ্রীত বুমরাহ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।